নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত।
ইসলাম গ্রহণের পর (অর্থাৎ لا اله الا الله) বলার পর একজন মুসলমানের প্রতি সর্ব প্রথম যে কাজটি করনীয় তা হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কে সময় মত আদায় করা।
কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন
حافظوا على الصلوات والصلاه الوسطى وقوموا لله قانتين
অর্থাৎ তোমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষত্ব মধ্যবর্তী নামাজের, আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনিত ভাবে দাঁড়াবে (সূরা আল বাকারা আয়াত 238)
নামাজই সকল সফলতার চাবিকাঠি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন
قد افلح المؤمنون الذين هم في صلاتهم خاشعون
অর্থাৎ।
মুমিনগণ সফলকাম হয়েছেন, যারা অত্যান্ত বিনয়ী ও মনোযোগীতার সাথে নামাজ আদায় করেন।(সূরা আল মুমিনুন 1-2)
অন্যত্রে আরো বলে
قد افلح من تزكى وذمر اسم ربه فصلي
অর্থাৎ
সেই ব্যাক্তি সাফল্য অর্জন করতে পারে, যে নিজেকে পবিত্র করে এবং নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করে নামাজ আদায় করে।(সূরা আলা14-15)
নামাজ হলো মানুষের পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার একমাত্র পথ। নামাজি মানুষকে পরিশীলিত করে এবং মানবতার পূর্ণতার শিখরে তুলে দেয়।
সালাতের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর স্মরণ ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে মানসিক দৃঢ়তা ও ভারসাম্য অর্জন করে এবং মানবীয় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন।
ان الانسان خلق هلوعا اذا مسه الشر جزوعا واذا مسه الخير منوعا الا المصلين الذين هم عن صلاتهم دائمون.
অর্থাৎ।
নিশ্চয় মানুষ সৃষ্টিগতভাবে অস্থিরচিত্ত ও ধৈর্য হারা। বিপদে পড়লে সে অধৈর্য ও হতাশ হয়ে পড়ে।
আর কল্যাণ বা সম্পদ লাভ করলে সে কৃপণ হয়ে পড়ে। মাত্র ব্যতিক্রম হল নামাজ আদায়কারী (তারা এ মানবীয় দুর্বলতা ঊর্ধ্বে উঠতে পারে) যারা সর্বদা নিয়মিত ভাবে নামাজ আদায় করে।(আল মাআরিজ 19-22)
এই আয়াত থেকে চারটি জিনিস স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে ।
যে মানুষ নামাজ পড়বে সে কখনোই অস্থির ও ধৈর্য হারা হবে না। সে কখনোই হতাশ হবে না এমন কি সে কৃপণ হবে না
রিয়াজুল ইসলাম
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন